জনপদ ডেস্ক: বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ভালো হতো বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “বিএনপি কেন অংশগ্রহণ করেনি তা আমি বলতে পারব না। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো ম্যানেজমেন্ট করা। এখানে প্রার্থী কারা দেবে, কোন কোন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে, এটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এতে আমরা কিছু করতে পারি না।”
কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, “কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন, কোনোভাবেই ত্রুটিযুক্ত নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না। কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে প্রয়োজনে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা হলো সহায়ক শক্তি।”
কোনো ভুল ত্রুটি হলে তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচন তদারকির জন্য নয়, করোনাকালীন ও বৈরি আবহাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যে কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য এসেছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, “বুথের মধ্যে অন্য লোক গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, এটাতো সম্ভব না। এগুলো কখনো মানা হবে না। ইভিএমে ভোটের ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। তাদের ওপর অনাস্থা রাখলে চলবে না। তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে। একজনের ভোট আরেকজনে দিয়ে দেবে, এটা সম্ভব না।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার ড. এ এইএম কামরুজ্জামান এবং রিটার্নিং অফিসার দুলাল তালুকদার।
এদিকে, এর আগে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন এবং রামগতি ও কমলনগরের ৬টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ জুন।